হোস্টিং সার্ভিস – ডেডিকেটেড, শেয়ার্ড ও ভিপিএস

একটি ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলো ইন্টারনেট ব্যবহার করে সবাই যেন দেখতে পারে তার জন্য ওয়েবসাইটটিকে একটি ওয়েব সার্ভারে হোস্ট করতে হয়। আর এর জন্য আপনাকে কোন একটি হোস্টিং প্রভাইডারের কাছ থেকে হোস্টিং সার্ভিসটি কিনতে হয় আপনার ওয়েবসাইটটি হোস্ট করার জন্য। এই সার্ভিসটিই হোস্টিং নামে পরিচিত।

পুরো আর্টিকেলজুড়ে শেয়ার্ড হোস্টিং নিয়ে বিস্তারিত এবং ডেডিকেটেড সার্ভার ও ভিপিএস নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

শেয়ার্ড হোস্টিং কি?

অ্যাপার্ট্মেন্ট বিল্ডিং

উপরের ছবিটিতে যে অ্যাপার্ট্মেন্ট বিল্ডিংটি দেখছেন সেটিকে একটি ওয়েবহোস্টিং সার্ভার মনে করুন ক্ষনিকের জন্য। বিল্ডিংটির মালিক আপনি নন কিন্ত চাইলেই আপনি এখানে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে পারেন এটির মালিকের কাছ থেকে। ফ্ল্যাট ভাড়া পেতে আপনার যা করতে হবে তা হচ্ছে বাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগ করা। এরপর মালিক আপনাকে তার বাড়িতে থাকবার জন্য যেসব নিয়ম-কানুন আছে সেসব ব্যাপারে অবহিত করবেন এবং সবশেষে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়ার জন্য আপনাকে অ্যাডভান্স পেমেন্ট করতে হবে আর তারপরেই মালিক আপনার হাতে আপনার কাংক্ষিত ফ্ল্যাটের চাবিটি তুলে দিবেন। এখন চাইলে যতদিন ইচ্ছা আপনি আপনার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবেন মাসিক ভাড়া দিয়ে।

শেয়ার্ড হোস্টিংও ঠিক একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়ার মতন। একটি ওয়েবহোস্টিং সার্ভার থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী স্পেস ভাড়া নেয়া। আর শেয়ার্ড হোস্টিং বলার কারন এখানে আপনি সার্ভারটির রিসোর্চ, ব্যান্ডউইথ অন্য আরো কয়েকজনের সাথে শেয়ার করছেন। তারাও আপনার মত সার্ভারটিতে কিছু স্পেস ভাড়া নিয়েছে ঠিক অ্যাপার্ট্মেন্ট বিল্ডিংটির অন্যান্য ফ্ল্যাটগুলো যেমন অন্যরা ভাড়া নিয়েছে।

বিভিন্ন হোস্টিং অপশন

একটি ওয়েবসাইট বিভিন্ন কনটেন্ট এর সমন্বয়ে গঠিত। একটি ওয়েবসাইটে থাকা সকল ডাটা যেমনঃ অডিও, ভিডিও, ইমেজ, ফাইল এই সবকিছুকেই একটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট বলে। শুরুতেই বলেছি, আপনার ওয়েবসাইটে থাকা কন্টেন্টগুলো ইন্টারনেটজুড়ে বাকি সবাই অ্যাক্সেস করতে চাইলে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটটি একটি ওয়েব সার্ভারে হোস্ট করতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে কোন একটি প্রভাইডারের কাছে থেকে হোস্টিং সার্ভিস কিনতে হবে যেমন KeenHost. আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট অনুযায়ী আপনার সার্ভিস পছন্দ করতে হবে প্রভাইডারদের কাছ থেকে। কন্টেন্টের উপরেই মূলত নির্ভর করে আপনার ওয়েবসাইটটি হোস্ট করার জন্য কতটুকু স্পেস প্রয়োজন। এখন আপনি যদি কোন প্রভাইডারের কাছে হোস্টিং সার্ভিস কিনতে যান তবে সেক্ষেত্রে আপনি সাধারনত তিনটি অপশন পাবেন।

  • ডেডিকেটেড অপশন
  • শেয়ার্ড অপশন
  • VPS অপশন

ডেডিকেটেড অপশন

ডেডিকেটেড সার্ভার নেয়া মানে পুরো অ্যাপার্ট্মেন্ট বিল্ডিংটিই আপনার নিজের করে নেয়া। একটি নির্দিষ্ট সার্ভার শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইট হোস্ট করার উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হয় বলে এটিকে ডেডিকেটেড সার্ভার বলা হয়।

ডেডিকেটেড সার্ভারের সবচাইতে বড় সুবিধা হল আপনি এটি নিজের মত করে ম্যানেজ করতে পারবেন। পুরো সার্ভারের সমস্ত অ্যাক্সেস, কন্ট্রোল সবকিছুই আপনার হাতে। আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে কনটেন্ট থাকলে এবং অগনিত ট্রাফিকের আনাগোনা থাকলে ডেডিকেটেড সার্ভার আপনার জন্য সবচাইতে সেরা অপশন হতে পারে। যখন আপনার নির্দিষ্ট রিসোর্চ, নির্দিষ্ট ব্যান্ডউইথ, নির্দিষ্ট…………এককথায় সবকিছু নির্দিষ্ট লাগবে তখন ডেডিকেটেড সার্ভারই আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত। তবে ডেডিকেটেড সার্ভার পরিচালনা করার জন্য আপনার টেকনিক্যাল নলেজ থাকা অপরিহার্য।

ডেডিকেটেড সার্ভারের ক্ষেত্রে একটি সমস্যা বলা যেতে পারে, এটি ব্যয়বহুল। তবে যখন পরিবারকে নিয়ে থাকার জন্য আপনার লাগবেই একটি নিজস্ব বাড়ি তখন অবশ্যই সেটি অ্যাফোর্ড করার ক্ষমতাও আপনার আছে বা থাকতে হবে।

শেয়ার্ড অপশন

শেয়ার্ড হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে আগেই বলেছি যে একটি সার্ভারের রিসোর্চ আপনি আরো অনেকজনের সাথে শেয়ার করছেন। শেয়ার্ড হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি অনেক সস্তা। আর এটি সস্তা হওয়ার সবচাইতে স্বাভাবিক কারনই হচ্ছে আপনি এখানে পুরো বিল্ডিংটা কিনছেন না বরং একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করছেন।

এখন আপনার ওয়েবসাইটটি একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট কিংবা ব্যক্তিগত ব্লগিং ওয়েবসাইট অথবা এমন কোন ওয়েবসাইট যেখানে আপনার খুব বেশি কন্টেন্ট রাখতে হয় না (একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে হাজার হাজার কন্টেন্ট থাকে সেই তুলনায় যেগুলো মেনশন করেছি সেগুলোতে কনটেন্ট এর পরিমান একদম কম)। আবার আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিকও তুলনামূলক কম সেক্ষেত্রে শেয়ার্ড অপশন আপনার জন্য সেরা হতে পারে। কারন, আপনি নিশ্চয়ই আপনার ওয়েবসাইটের সামান্য কিছু কনটেন্ট এর জন্য পুরো একটি সার্ভার কিনবেন না। তবে হ্যাঁ, যদি নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স ফাঁকা করে কিনতে চান তাহলে সেটি একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার!

শেয়ার্ড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে এটি ব্যবহার করার জন্য আপনার কোন টেকনিক্যাল নলেজ থাকার প্রয়োজন নেই।

KeenHost এর সকল শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজে এখন ৫০% ডিসকাউন্ট সাথে লাইফটাইম .COM ডোমেইন ফ্রি।

VPS অপশন

Virtual Private Server এর ক্ষেত্রে, একটি ফিজিক্যাল সার্ভারে আপনার নিজস্ব স্পেস থাকবে যেটি একাধিক প্রাইভেট ইনভাইরনমেন্টে বিভক্ত। টেকনিক্যাল টার্ম-এ এই পদ্ধতিকে ‘ভার্চুয়ালাইজেশন’ বলে। শেয়ার্ড সার্ভারের যেমন এক সার্ভারে অনেক ইউজার থাকে, VPS হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রেও তেমনি। তবে বড় পার্থক্য হচ্ছে শেয়ার্ড হোস্টিংয়ে যেমন ইউজারদের রিসোর্চ, ব্যান্ডউইথ এসব ভাগ করে দেয়া হয়, VPS এ তা হয় না। VPS এর ক্ষেত্রে আপনার রিসোর্চ, ব্যান্ডউইথ নির্দিষ্ট, অন্যকেউ এর ভাগীদার হবে না।

মনে করুন শেয়ার্ড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়াদের একই পানির লাইন, গ্যারেজ শেয়ার করতে হয় একে অপরের সাথে কিন্ত, VPS এর ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি পানির লাইন কিংবা গ্যারেজে তার গাড়ি পার্কিং এর জায়গা নির্দিষ্ট। এসব অন্য কারো সাথে শেয়ার হয় না।

ডেডিকেটেড হোস্টিংয়ের মতো, ভিপিএস হোস্টিংয়ে একটি সর্বোচ্চ স্তরের কন্ট্রোল এবং কাস্টমাইজেশনের অনুমতি দেয়া হয়। আপনি চাইলেই সার্ভার সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন, সফ্টওয়্যার ইনস্টল করতে পারেন, আপনার ইউজারদের যুক্ত করতে পারেন, এমনকি আপনার প্রয়োজনে চাইলে সার্ভারটি অন এবং অফও করতে পারেন।

VPS হোস্টিং শেয়ার্ড হোস্টিংয়ের চাইতে ব্য্যবহুল কিন্ত ডেডিকেটেড সার্ভারের চাইতে সস্তা। আর VPS হোস্টিং এর ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল নলেজ থাকার প্রয়োজন অপরিহার্য।

VPS আপনার জন্য একটি ভাল অপশন হতে পারে যদি আপনি একটি সার্ভারে আপনার জন্য নির্দিষ্ট স্পেস, রিসোর্চ, ব্যান্ডউইথ এবং সার্ভারের কন্ট্রোল চান কিন্ত ডেডিকেটেড সার্ভার যে পরিমান স্পেস এবং শক্তি প্রভাইড করে তা আপনার দরকার নেই সেক্ষেত্রে।

সাজেশন

প্রথম অবস্থায় একদম কম স্পেস নিয়ে শুরু করাই সবচাইতে ভাল অপশন কারন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি যেকোন সময় চাইলেই স্পেস বাড়িয়ে নিতে পারবেন আপনার হোস্টিং প্রভাইডারকে বলে। তবে আপনি কাদের সার্ভিস সিলেক্ট করবেন সেটি নির্ধারন করার আগে অবশ্যই সেই প্রভাইডারের রেপ্যুটেশন সম্পর্কে জানতে ভুলবেন না কিন্ত। কতদিন ধরে তারা সার্ভিস দেয়, কাস্টমারদের সাপোর্ট দেয় কিনা ঠিকমত, তাদের সার্ভিস রিলায়েবল কিনা এই ব্যাপারগুলো জানার প্রয়োজন আছে, যেন তাদের থেকে সার্ভিস নেয়ার পরে নিশ্চিন্তে সেটি ব্যবহার করতে পারেন।

শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহারে করনীয়

আপনি যদি ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাহলে কিছু ব্যাপার আছে যেগুলোর জন্য বাড়ির মালিকের উপর আপনাকে নির্ভর করতে হয়। যেমন মনে করুন, আপনার বাড়িতে পানির লাইনের কোন সমস্যা হলে, বাসার ছাদ ফুটো হলে, গ্যাসের সমস্যা হলে ইত্যাদি ইত্যাদি। শেয়ার্ড হোস্টিং এর ক্ষেত্রেও কিছুটা এমনই। আপনি আপনার ওয়েবসাইট কিভাবে সাজাবেন-গোছাবেন, কি রাখবেন না রাখবেন তা আপনিই ঠিক করতে পারবেন কিন্ত যখনই সার্ভার রিলেটেড কিছু করতে হবে তখন আপনার হয়ে সার্ভার অ্যাডমিন বা প্রভাইডার আপনার সার্ভার ম্যানেজ, কনফিগার, সেটিংস, ইন্সটলেশন এসব কাজ করবে। আর তাই আপনার সার্ভার রিলেটেড কোন টেকনিক্যাল নলেজ না থাকলেও কোন সমস্যা হয় না এবং খুব আরামেই আপনি আপনার হোস্টিং সার্ভিসটি ব্যবহার করতে পারবেন।

যে ব্যাপারগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে

শেয়ার্ড হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে যে, আপনি এমন একটি সার্ভারে আপনার ওয়েবসাইটটি হোস্ট করছেন যেটির রিসোর্চ, ব্যান্ডউইথ অন্যদের সাথেও শেয়ার হচ্ছে যাদের ওয়েবসাইটগুলো একই সার্ভার হোস্ট করে চলেছে। তবে আপনি একটি শেয়ার্ড সার্ভিস ব্যবহার করছেন বলে এমন মনে করবেন না যে এর ফলে আপনার হোস্টিং সার্ভিসে কোন ব্যাঘাত ঘটবে। আপনি যদি সঠিক প্রভাইডার পছন্দ করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটটি হোস্ট করার জন্য তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই নলেজেবল এবং নির্ভরযোগ্য একজন সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাবেন যে কিনা আপনাকে একটা সিকিউর সার্ভিস প্রভাইড করবে এবং আপনাকে নিশ্চিন্ত রাখবে আপনার ওয়েবসাইটটি কোন সমস্যা হওয়া থেকে কিংবা কোন অ্যাটাকারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে।

সার্ভিস ব্যবহারের নিয়ম-কানুন জেনে রাখা

আপনার প্রভাইডার যদি কোনভাবে জানতে পারে যে আপনি তাদের সার্ভিসটি অপব্যবহার করছেন যার কারনে আপনার প্রতিবেশিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাহলে চাইলেই তারা আপনাকে তাদের সার্ভিস দেয়া থেকে বহিষ্কার করতে পারেন। তাই কোন হোস্টিং সার্ভিস কেনার পূর্বে তাদের নিয়ম-কানুনগুলো অবশ্যই জেনে রাখবেন এবং সঠিকভাবে তাদের সার্ভিসটি ব্যবহারের চেষ্টা করবেন যেন আপনার কারনে অন্যদের ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়।

ওয়েবসাইটের সুরক্ষা নিশ্চিত করা

সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সার্ভারের সিকিউরিটির ব্যাপারটা দেখাশোনা করবেন, বিভিন্ন ভাইরাস বা হ্যাকার দের অ্যাটাক থেকে রক্ষা করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়ে রাখতে হবে সেসব তারা করবেন। কিন্ত আপনার অসতর্কতার কারনেও অনেক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারেন যা শুধু আপনাকেই না বরং আপনার প্রতিবেশীদেরকেও সমস্যার মধ্যে ফেলতে পারে। এখন আপনি যদি আপনার ফ্ল্যাটের দরজা খোলা রেখে বাহিরে চলে যান আর সেক্ষেত্রে আপনার বাসায় চুরি হয় তাহলে অবশ্যই বাড়িওয়ালাকে দোষ দিবেন না! আপনার ভাড়া নেয়া ফ্ল্যাটটিতে আপনি চাইলে যে কাওকে আসা-যাওয়া করতে দিতে পারেন কিন্ত আপনার লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তাদের কারনে আপনি কোন ম্যালিসিয়াস ইউজারদেরকে আপনার সার্ভারে নিমন্ত্রন না দিয়ে বসেন। এতে আপনি যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ঠিক তেমনিভাবে আপনার প্রতিবেশীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এমনকি অনেক সময় সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সিকিউরিটির জন্য সম্ভবপর সব ব্যবস্থা নিয়ে রাখলেও এটি বিপদের সম্মুখীন হতে পারে হতে পারে কারন অনলাইন জগতে হায়েনা, জন্ত-জানোয়রের (হ্যাকার) অভাব নেই। আপনাকে আপনার ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক এবং দায়ত্বশীল হতে হবে।

যে ব্যবস্থাগুলো আপনি নিতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটের সুরক্ষার জন্য
  • আপনি যদি কোন CMS যেমন- ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সবসময় সেটির সফটওয়্যার এবং প্লাগিনগুলো আপ-টু-ডেট রাখবেন।
  • আপনি আপনার ওয়েবসাইটে SSL সার্টিফিকেট না ব্যবহার করে থাকলে অবশ্যই সেটি ব্যবহার করবেন কারন এটি আপনাকে এবং আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীকে সিকিউরিটি দিয়ে থাকে বিভিন্ন ডাটার ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে যেমন, পেমেন্ট ইনফরমেশন, অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস, পাসওয়ার্ড বা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ক্ষেত্রে। আর এখন বেশিরভাগ হোস্টিং সার্ভিস প্রভাইডাররাই ফ্রি SSL সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন তাদের হোস্টিং প্যাকেজের সাথে যেমন KeenHost. তাই তাদের থেকে হোস্টিং কেনার পরে অবশ্যই SSL সার্টিফিকেট অ্যাক্টিভ করে ফেলুন। SSL সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের এই ব্লগটি পড়ে দেখতে পারেন (আপনার ওয়েবসাইট কি সিকিউরড?)
  • যদি সলিড পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন আপনার ওয়েবসাইটের কন্ট্রোল প্যানেলের জন্য তাহলে অবশ্যই সেটি পরিবর্তন করে জটিল এবং দূর্বোধ্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে বিভিন্ন সিকিউর পাসওয়ার্ড জেনারেটর অ্যাপলিকেশন আছে সেখান থেকে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন এবং ব্যবহার করুন। আপনার অ্যাকাউন্ট আরো সিকিউরড করতে চাইলে 2-factor authentication অপশনটি চালু করে রাখুন।
  • স্পাম মেইলের হাত থেকে রক্ষা পেতে কন্ট্রোল প্যানেল থেকে মেইল সিকিরিটি চালু রাখুন।
  • আপনার ওয়াবসাইটে রাখা ফাইলগুলো কারা অ্যাক্সেস করতে পারবে সেটির রুলস তৈরি করে দিন।

উপরের আলোচনার সারসংক্ষেপ

ডেডিকেটেড হোস্টিং এনভাইরনমেন্ট এ পুরো কন্ট্রোল এটির মালিকের হাতে থাকে।

শেয়ার্ড হোস্টিং এনভায়রনমেন্ট আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য একটি সার্ভারের একটি অংশ মাত্র।

VPS হোস্টিং ব্যবহার করে একটি ডেডিকেটেড সার্ভারের অ্যাক্সেস এবং ম্যানেজের সুবিধা পাওয়া যায় তুলনামূলক কম খরচেই।

সিকিউর এনভায়রনমেন্ট বজায় রাখার জন্য হোস্টিং প্রভাইডারের পাশাপাশি ব্যবহারকারীরও দায়িত্ব রয়েছে।

আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে হোস্টিং সার্ভিস এবং শেয়ার্ড, ডেডিকেটেড ও VPS হোস্টিংয়ের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন। এই সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন থাকলে বা আপনাদের কোন সাজেশন যদি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment